ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুমুর প্রতিবাদ করায় শিশুকে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

৩১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুরে মাইশা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে জহুরুল হক রানা ওরফে ছক্কু (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরের কেরানীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর পিবিআইর সুপার এ বি এম জাকির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত জহুরুল হক রানা প্রতিবেশী। মাইশা তাকে দাদু বলে ডাকত। বাড়িতে একা থাকতেন ছক্কু। ঘটনার দিন সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ছক্কু মাইশাকে মোয়া কেনার জন্য দুই টাকা দেন।

শিশু মাইশা মোয়া কিনে আনলে ছক্কু কৌশলে তাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যায় এবং কয়েকবার চুমু দেয়। এ সময় মাইশা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছক্কুকে আঘাত করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে বাঁশের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে মাইশা।

এরপর বস্তায় তার মরদেহ ভরে বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে মাইশার মরদেহ প্রতিবেশী মতিন ও শাহিনের ডোবায় ফেলে আত্মগোপনে চলে যান ছক্কু।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ওই ডোবার কিনারে মাইশার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। মাইশা রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সরকারপাড়া গ্রামের গ্রিল মিস্ত্রি মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। রংপুর পিবিআই ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে।

তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জহুরুল হক রানাকে নগরীর কেরানীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে নিখোঁজ হয় মাইশা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে খুঁজে না পাওয়ায় রাতে মাইকিং করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

চুমুর প্রতিবাদ করায় শিশুকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

৩১ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুরে মাইশা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে জহুরুল হক রানা ওরফে ছক্কু (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরের কেরানীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর পিবিআইর সুপার এ বি এম জাকির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত জহুরুল হক রানা প্রতিবেশী। মাইশা তাকে দাদু বলে ডাকত। বাড়িতে একা থাকতেন ছক্কু। ঘটনার দিন সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ছক্কু মাইশাকে মোয়া কেনার জন্য দুই টাকা দেন।

শিশু মাইশা মোয়া কিনে আনলে ছক্কু কৌশলে তাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যায় এবং কয়েকবার চুমু দেয়। এ সময় মাইশা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছক্কুকে আঘাত করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে বাঁশের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে মাইশা।

এরপর বস্তায় তার মরদেহ ভরে বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে মাইশার মরদেহ প্রতিবেশী মতিন ও শাহিনের ডোবায় ফেলে আত্মগোপনে চলে যান ছক্কু।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ওই ডোবার কিনারে মাইশার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। মাইশা রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সরকারপাড়া গ্রামের গ্রিল মিস্ত্রি মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। রংপুর পিবিআই ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে।

তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জহুরুল হক রানাকে নগরীর কেরানীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে নিখোঁজ হয় মাইশা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে খুঁজে না পাওয়ায় রাতে মাইকিং করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।