ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

১৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চীন প্রথমবাবের মতো নিজেদের মহাকাশ গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন মানুষসহ মহাকাশে যান প্রেরণ করলো।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লং মার্চ টুএফ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করে।

এসময় এই নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।

বর্তমান অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিয়ানহে তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবে। এসময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ স্পেস সেন্টারটিকে আরও দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরেও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা।

মহাকাশে নভোচারীরিা কী করবেন?

৩ নভোচারী দলের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিয়ে হাইশেন। তার মূল লক্ষ্য হল, পুরো দলকে নিয়ে ২২.৫ টরে তিয়ানহে মডিউলকে সচল করে তোলা। উৎক্ষেপণের আগে নিয়ে বলেছেন, ‘আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’

‘আমাদের মহাকাশে বাসা বাঁধতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে কিছু নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে হবে। ফলে মিশন কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হবে। আমারা বিশ্বাস, আমরা ৩ জন নিবিড়ভাবে কাজ করলে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং যথাযথভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে, আমারা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব। মিশন সম্পন্ন করার আত্মবিশ্বাস রয়েছে আমাদের।’ – বলেছেন হাইশেন।

১৬.৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪.২ মিটার প্রস্থের তিয়ানহে সিলিন্ডারটি এপ্রিলে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

অভিযানের উদ্দেশ্য

মহাকাশ অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার (মহাকাশ কেন্দ্র) তিয়ানহে-তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবেন। এ সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ মহাকাশ কেন্দ্রটিকে আরও দুটি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবেন।

মহাকাশে চীনের নিজেদের মহাকাশ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা এখন আর কারও অজানা নয়। সেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজ এগোতেই এই অভিযান। মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজে এর আগে দুবার মনুষ্যহীন রকেট পাঠিয়েছে চীন।

এরই মধ্যে চীনের মহাকাশ কেন্দ্রের প্রাথমিক একটি কোর মডিউল নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। এবারের মহাকাশযানটি গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপরই সেই কোর মডিউলে মোট তিন মাস কাটাবেন তিন মহাকাশচারী।

চীনের স্পেস স্টেশনের এই কোর মডিউলের নাম ‘তিয়ানহে’।

এবারেরটি মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনায় চীনের তৃতীয় মহাকাশ অভিযান। আরও মোট আটটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও এরই মধ্যে বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা

আপডেট সময় : ০২:১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

১৭ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চীন প্রথমবাবের মতো নিজেদের মহাকাশ গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন মানুষসহ মহাকাশে যান প্রেরণ করলো।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লং মার্চ টুএফ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করে।

এসময় এই নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।

বর্তমান অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিয়ানহে তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবে। এসময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ স্পেস সেন্টারটিকে আরও দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরেও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা।

মহাকাশে নভোচারীরিা কী করবেন?

৩ নভোচারী দলের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিয়ে হাইশেন। তার মূল লক্ষ্য হল, পুরো দলকে নিয়ে ২২.৫ টরে তিয়ানহে মডিউলকে সচল করে তোলা। উৎক্ষেপণের আগে নিয়ে বলেছেন, ‘আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’

‘আমাদের মহাকাশে বাসা বাঁধতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে কিছু নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে হবে। ফলে মিশন কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হবে। আমারা বিশ্বাস, আমরা ৩ জন নিবিড়ভাবে কাজ করলে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং যথাযথভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে, আমারা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব। মিশন সম্পন্ন করার আত্মবিশ্বাস রয়েছে আমাদের।’ – বলেছেন হাইশেন।

১৬.৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪.২ মিটার প্রস্থের তিয়ানহে সিলিন্ডারটি এপ্রিলে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

অভিযানের উদ্দেশ্য

মহাকাশ অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার (মহাকাশ কেন্দ্র) তিয়ানহে-তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবেন। এ সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ মহাকাশ কেন্দ্রটিকে আরও দুটি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবেন।

মহাকাশে চীনের নিজেদের মহাকাশ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা এখন আর কারও অজানা নয়। সেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজ এগোতেই এই অভিযান। মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজে এর আগে দুবার মনুষ্যহীন রকেট পাঠিয়েছে চীন।

এরই মধ্যে চীনের মহাকাশ কেন্দ্রের প্রাথমিক একটি কোর মডিউল নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। এবারের মহাকাশযানটি গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপরই সেই কোর মডিউলে মোট তিন মাস কাটাবেন তিন মহাকাশচারী।

চীনের স্পেস স্টেশনের এই কোর মডিউলের নাম ‘তিয়ানহে’।

এবারেরটি মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনায় চীনের তৃতীয় মহাকাশ অভিযান। আরও মোট আটটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও এরই মধ্যে বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।