ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ির গলিতে নারীর দগ্ধ মরদেহ নিয়ে চাঞ্চল্য

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১ ২১৩ বার পড়া হয়েছে

০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে মিলি চক্রবর্তী শান্তনা (৪২) নামের এক নারীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশের লোটো শো-রুমের পেছনে মিলির নিজ বাড়ির গলি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শান্তনা ওই এলাকার সমীর চক্রবর্তীর স্ত্রী। সমীর পাশ্ববর্তী লোটো শো রুমের মালিক।

পুলিশ সূত্রে জানায়, শান্তনার ছেলে রাহুল সকালে ওই গলিতে তার মায়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত হন।

ছেলে রাহুল বলেন, গতকাল রাত ১১টায় মায়ের সাথে আমার শেষ কথা হয়।

মিলির স্বামী সমীর চক্রবর্তী বলেন, আমি রাতে খেলা দেখার পর ঘুমিয়ে পড়ি। তার সাথে আর কথা হয়নি। এদিকে মিলি মৃত্যুর আগে বাসার ডায়েরিতে তার রোগাক্রান্তের কথা উল্লেখ্য করে যে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় । কিন্তু অনাকাঙ্খিত এ মৃত্যু মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুলতানা রাজিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যাবতীয় আলামত জব্দ করে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে। তদন্তের জন্যে ওই নারীর মোবাইলফোন জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ির গলিতে নারীর দগ্ধ মরদেহ নিয়ে চাঞ্চল্য

আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে মিলি চক্রবর্তী শান্তনা (৪২) নামের এক নারীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশের লোটো শো-রুমের পেছনে মিলির নিজ বাড়ির গলি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শান্তনা ওই এলাকার সমীর চক্রবর্তীর স্ত্রী। সমীর পাশ্ববর্তী লোটো শো রুমের মালিক।

পুলিশ সূত্রে জানায়, শান্তনার ছেলে রাহুল সকালে ওই গলিতে তার মায়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত হন।

ছেলে রাহুল বলেন, গতকাল রাত ১১টায় মায়ের সাথে আমার শেষ কথা হয়।

মিলির স্বামী সমীর চক্রবর্তী বলেন, আমি রাতে খেলা দেখার পর ঘুমিয়ে পড়ি। তার সাথে আর কথা হয়নি। এদিকে মিলি মৃত্যুর আগে বাসার ডায়েরিতে তার রোগাক্রান্তের কথা উল্লেখ্য করে যে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় । কিন্তু অনাকাঙ্খিত এ মৃত্যু মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুলতানা রাজিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যাবতীয় আলামত জব্দ করে মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে। তদন্তের জন্যে ওই নারীর মোবাইলফোন জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।