ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে প্রেমিকাকে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা।

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

১৪ জুন ২০১৯, বিন্দুবাংলা টি.. কম,

সৈয়দ কামাল,ফেনী (উত্তর) প্রতিনিধিঃফেইসবুক মাধ্যমে উপজেলার ১০ নং ঘোপাল ইউনিয়নস্থ নাঙ্গলমোড়া গ্রামের,প্রবাসী মোঃআজিজুল হকের পুত্র,সাইদুল হক ওরফে বাবু (২১) এর সাথে,ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন বাঁশপাড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে বসবাসরত এক এসএসসি পরীক্ষার্থিনি ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্ঠি হয়।দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন প্রেমিক-প্রেমিকা উভয় উভয়ের সাথে একাধীক বার দেখা সাক্ষাত ও করেন।
একপর্যায় গত ৯ জুন প্রেমিকা বিয়ের দাবীতে প্রেমিক বাবুর বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেন।৯ জুন থেকে ১২ জুন চার দিন যাবৎ প্রেমিকা,প্রেমিক বাবুর নাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করেন।এই সময় প্রেমিকা,প্রেমিক বাবুসহ তার পরিবারকে বাবুর সাথে তার বিয়ে পড়ানোর জন্য নানান মূখি হুমকি দমকি প্রদান করেন।বাবু তাকে বিয়ে না করলে সে বাবুর ঘরে বিষ প্রাণে বা ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে,তাদের সবাইকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে হত্যামামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করতে থাকে।বাবা প্রবাসে থাকায় পরিবারের মধ্যে বর্তমানে বাবুর একমাত্র অভিবাবক তার মা ছাড়া আর কেউ নেই।এদিকে বাবুর মা কোনভাবেই বিয়ের দাবীতে তার বাড়ীতে অবস্থানরত বাবুর প্রেমিকা মেয়েটিকে মেনে নিবে না বলে ছাপ জানিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে বাবুর মা স্থানীয় ঘোপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের মাধ্যমে রফাদপা করার চেষ্ঠা চালান।চেয়ারম্যান মানিক বাবুর প্রেমিকা মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে বুঝালে ও মেয়েটির একটাই কথা বাবু তাকে বিয়ে করতে হবে।এই বিষয় স্থানীয় চেয়ারম্যান কোন সমাধান করতে না পেরে,বাবু ও বাবুর মা সহ মেয়েটিকে ছাগলনাইয়া পৌর মেয়র এম,মোস্তফা’র কাছে পাঠিয়ে দেন।মেয়র মোস্তফা উভয় পক্ষকে সৃষ্ট সমস্যাটি সমাধান করার লক্ষে বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর পর ও সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন।এক পর্যায় মেয়র উভয়কে ছাগলনাইয়া থানার সরনাপন্ন হতে বলেন।এই ফাঁকে প্রেমিকা মেয়েটির মা ছাগলনাইয়া থানায় গিয়ে বাবুর বিরুদ্ধে তার মেয়কে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার মেয়ে সহ নির্যাতনকারী আসামী কোথায় অবস্থান করছে,সে বিষয় ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’কে জানান।থানার ওসি বিষয়টি জানার পর ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় পলাশকে ডেকে প্রেমিকা মেয়েটির মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
ওসি (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় অফিসার ইনর্চাজ এর নির্দেশনা মোতাবেগ তাৎক্ষণিক বাদীনির অভিযোগটি সহ বাদীনির সাথে থানার এসআই মোঃআলমগীর হোসেন ও এএসআই জাহাঙ্গীর আলম এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বিকটিম উদ্ধারসহ আসামী গ্রেপ্তারে পাঠান।বাদীনির সাথে আসা পুলিশ ছাগলনাইয়া পৌরসভা আঙ্গিনা থেকে অভিযুক্ত আসামী সাইদুল হক বাবুকে গ্রেপ্তার করে বাবুর সাথে থাকা বিকটিম প্রেমিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।ছাগলনাইয়া থানা গ্রেপ্তারকৃত আসামী সাইদুল হক বাবুর বিরুদ্ধে বাদী’র আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে,ছাগলনাইয়া থানার মামলা নং-০৮ তারিখ-১২-০৬-২০১৯ ইং রুজু করে আসামীকে ফেনী কোর্টে চালান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ফেনীতে প্রেমিকাকে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা।

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

১৪ জুন ২০১৯, বিন্দুবাংলা টি.. কম,

সৈয়দ কামাল,ফেনী (উত্তর) প্রতিনিধিঃফেইসবুক মাধ্যমে উপজেলার ১০ নং ঘোপাল ইউনিয়নস্থ নাঙ্গলমোড়া গ্রামের,প্রবাসী মোঃআজিজুল হকের পুত্র,সাইদুল হক ওরফে বাবু (২১) এর সাথে,ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন বাঁশপাড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে বসবাসরত এক এসএসসি পরীক্ষার্থিনি ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্কের সৃষ্ঠি হয়।দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন প্রেমিক-প্রেমিকা উভয় উভয়ের সাথে একাধীক বার দেখা সাক্ষাত ও করেন।
একপর্যায় গত ৯ জুন প্রেমিকা বিয়ের দাবীতে প্রেমিক বাবুর বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেন।৯ জুন থেকে ১২ জুন চার দিন যাবৎ প্রেমিকা,প্রেমিক বাবুর নাঙ্গলমোড়া গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করেন।এই সময় প্রেমিকা,প্রেমিক বাবুসহ তার পরিবারকে বাবুর সাথে তার বিয়ে পড়ানোর জন্য নানান মূখি হুমকি দমকি প্রদান করেন।বাবু তাকে বিয়ে না করলে সে বাবুর ঘরে বিষ প্রাণে বা ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে,তাদের সবাইকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে হত্যামামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করতে থাকে।বাবা প্রবাসে থাকায় পরিবারের মধ্যে বর্তমানে বাবুর একমাত্র অভিবাবক তার মা ছাড়া আর কেউ নেই।এদিকে বাবুর মা কোনভাবেই বিয়ের দাবীতে তার বাড়ীতে অবস্থানরত বাবুর প্রেমিকা মেয়েটিকে মেনে নিবে না বলে ছাপ জানিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে বাবুর মা স্থানীয় ঘোপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের মাধ্যমে রফাদপা করার চেষ্ঠা চালান।চেয়ারম্যান মানিক বাবুর প্রেমিকা মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে বুঝালে ও মেয়েটির একটাই কথা বাবু তাকে বিয়ে করতে হবে।এই বিষয় স্থানীয় চেয়ারম্যান কোন সমাধান করতে না পেরে,বাবু ও বাবুর মা সহ মেয়েটিকে ছাগলনাইয়া পৌর মেয়র এম,মোস্তফা’র কাছে পাঠিয়ে দেন।মেয়র মোস্তফা উভয় পক্ষকে সৃষ্ট সমস্যাটি সমাধান করার লক্ষে বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর পর ও সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন।এক পর্যায় মেয়র উভয়কে ছাগলনাইয়া থানার সরনাপন্ন হতে বলেন।এই ফাঁকে প্রেমিকা মেয়েটির মা ছাগলনাইয়া থানায় গিয়ে বাবুর বিরুদ্ধে তার মেয়কে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালিয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার মেয়ে সহ নির্যাতনকারী আসামী কোথায় অবস্থান করছে,সে বিষয় ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’কে জানান।থানার ওসি বিষয়টি জানার পর ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় পলাশকে ডেকে প্রেমিকা মেয়েটির মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
ওসি (তদন্ত) সুদ্বীপ রায় অফিসার ইনর্চাজ এর নির্দেশনা মোতাবেগ তাৎক্ষণিক বাদীনির অভিযোগটি সহ বাদীনির সাথে থানার এসআই মোঃআলমগীর হোসেন ও এএসআই জাহাঙ্গীর আলম এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বিকটিম উদ্ধারসহ আসামী গ্রেপ্তারে পাঠান।বাদীনির সাথে আসা পুলিশ ছাগলনাইয়া পৌরসভা আঙ্গিনা থেকে অভিযুক্ত আসামী সাইদুল হক বাবুকে গ্রেপ্তার করে বাবুর সাথে থাকা বিকটিম প্রেমিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।ছাগলনাইয়া থানা গ্রেপ্তারকৃত আসামী সাইদুল হক বাবুর বিরুদ্ধে বাদী’র আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে,ছাগলনাইয়া থানার মামলা নং-০৮ তারিখ-১২-০৬-২০১৯ ইং রুজু করে আসামীকে ফেনী কোর্টে চালান করেন।