ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে নারীসহ ৫ জনকে গণপিটুনি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

২২ জুলাই, ২০১৯আজকের মেঘনা ডটকম,

ডেস্ক রিপোর্ট ● কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে নারীসহ ৫ জনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২১ জুলাই) সকালে জেলার সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ধুতিয়া দিঘীর পাড় এলাকায় ৩ জনকে এবং মাঝিগাছা এলাকায় ১ জনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়।

এছাড়া লাকসামে ছেলেধথরা সথন্দেহে এক ভিক্ষুককে গথণপিথটুনি দেয়া হয়েছে। এসব ঘথটনায় কুমিল্লাজুড়ে আথতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ধুতিয়া দিঘীর পাড় এলাকায় আহত তিন জন হলেন, রত্না (৫০), তার স্বামী আবুল কালাম (৭৪); তারা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আনোয়ার হোসেন (২৮) একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মাঝিগাছা এলাকায় গণপিটুনির শিকার আরিফের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়। আমড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রবিবার সকালে নারীসহ তিন জন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রাম থেকে আমড়াতলী স্কুলের সামনে আসেন। পাশের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে একটি শিশুকে ডাক দিলে ছেলেধথরা সথন্দেহে তাদের এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়।

পুলিশ দ্রুত ঘটথনাস্থলে এসে আথহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তপন কুমার বাকচী জানান, ঘটথনাস্থলে গিয়ে আথহতদের উথদ্ধার করেছি। চিথকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, সকালে সদর উপজেলার মাঝিগাছা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে আরিফ নামে আরেকজনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়েছে। আরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর এলাকার আবদুর নূর স্বর্ণকারের ছেলে। কোতোয়ালি মডেল থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পেয়ারাপুর এলাকায় একটি বেগ হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করছিল রফিকুল ইসলাম।

ভিক্ষা শেষে জেলেপাড়া সংলগ্নে চা দোকানের কাছে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন ছেলেধথরা সথন্দেহে তাকে জিথজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথাবার্তায় সথন্দেহ হলে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।

এতে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন শনিবার বিকেলে এ ঘটনার সথত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সে ভিক্ষুক রফিকুল ইসলাম কিছুটা মানসিক ভারথসাম্যহীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে নারীসহ ৫ জনকে গণপিটুনি

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

২২ জুলাই, ২০১৯আজকের মেঘনা ডটকম,

ডেস্ক রিপোর্ট ● কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে নারীসহ ৫ জনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২১ জুলাই) সকালে জেলার সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ধুতিয়া দিঘীর পাড় এলাকায় ৩ জনকে এবং মাঝিগাছা এলাকায় ১ জনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়।

এছাড়া লাকসামে ছেলেধথরা সথন্দেহে এক ভিক্ষুককে গথণপিথটুনি দেয়া হয়েছে। এসব ঘথটনায় কুমিল্লাজুড়ে আথতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ধুতিয়া দিঘীর পাড় এলাকায় আহত তিন জন হলেন, রত্না (৫০), তার স্বামী আবুল কালাম (৭৪); তারা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আনোয়ার হোসেন (২৮) একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

মাঝিগাছা এলাকায় গণপিটুনির শিকার আরিফের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায়। আমড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রবিবার সকালে নারীসহ তিন জন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রাম থেকে আমড়াতলী স্কুলের সামনে আসেন। পাশের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে একটি শিশুকে ডাক দিলে ছেলেধথরা সথন্দেহে তাদের এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়।

পুলিশ দ্রুত ঘটথনাস্থলে এসে আথহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তপন কুমার বাকচী জানান, ঘটথনাস্থলে গিয়ে আথহতদের উথদ্ধার করেছি। চিথকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, সকালে সদর উপজেলার মাঝিগাছা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে আরিফ নামে আরেকজনকে গণপিথটুনি দেওয়া হয়েছে। আরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর এলাকার আবদুর নূর স্বর্ণকারের ছেলে। কোতোয়ালি মডেল থানার তদন্ত পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পেয়ারাপুর এলাকায় একটি বেগ হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করছিল রফিকুল ইসলাম।

ভিক্ষা শেষে জেলেপাড়া সংলগ্নে চা দোকানের কাছে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন ছেলেধথরা সথন্দেহে তাকে জিথজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথাবার্তায় সথন্দেহ হলে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।

এতে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন শনিবার বিকেলে এ ঘটনার সথত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সে ভিক্ষুক রফিকুল ইসলাম কিছুটা মানসিক ভারথসাম্যহীন।