ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলা দায়েরের হিড়িকে আইনমন্ত্রীর উদ্বেগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯০ বার পড়া হয়েছে

২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ আজকের মেঘনা

মামলা দায়েরের হিড়িক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা দায়ের করার যে হিড়িক এটা একটা ট্রেন্ড হিসেবে পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মামলা শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আদালতে লাখ লাখ দেওয়ানি মামলা বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য জেলা জজদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন লিডারশিপ অব ডিস্ট্রিক লিগ্যাল এইড কমিটি চেয়ারম্যান: স্ট্রেঞ্জিং গভর্নমেন্ট লিগ্যাল এইড অ্যান্ড গুড গভর্নেন্সথ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় জেলা লিগ্যাল এইডকে আরও কার্যকর করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে এজিআর পদ্ধতিতে দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি করছে। কিন্তু আমরা কেন পারছি না সেটা ভেবে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা জজদের প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, অসহায় মানুষকে আইনি সেবা দিতে জেলা জজদের যোগ্য নেতৃত্ব দিতে হবে। মানুষ জজদের ওপর আস্থা রাখে। আপনারা যদি লিগ্যাল এইড সার্ভিসকে নেতৃত্ব দেন তাহলে মানুষ আস্থা পাবে। এটা নিজের মনে করে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক সঙ্গতি নেই এজন্য লিগ্যাল এইডে মানুষ এলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে নিষ্পত্তিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ফলে মানুষ আদালত বিমুখ হবে। আদালতের ওপর চাপ কমবে। এ ট্রেন্ড চলতে থাকলে মামলা শেষ করা যাবে না।

রাষ্ট্রের সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজে সব নাগরিককে আইনি সেবা দিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাম্যের সমাজ গঠনে কাজ করছে। এজন্য বিচার বিভাগে নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সব নাগরিকের আইনি সেবা তথা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, সরকারি আইন সেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে লিগ্যাল এইড কাজ করছে। দরিদ্র মানুষকে আইনি সেবা দিতে সরকার এ সংস্থা চালু করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে সব দরিদ্র মানুষকে আইনি সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল লিগ্যাল এইড দিবস বঙ্গবন্ধুর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, ৩০তম ব্যাচ পর্যন্ত যারা বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাননি তাদের নয়জনকে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে বিদেশ ভ্রমণে পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনের পরিচালক এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির এনগেগিং উইথ ইনস্টিটিউশন প্রকল্পের সহায়তায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজরা অংশগ্রহণ করেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

মামলা দায়েরের হিড়িকে আইনমন্ত্রীর উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ আজকের মেঘনা

মামলা দায়েরের হিড়িক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা দায়ের করার যে হিড়িক এটা একটা ট্রেন্ড হিসেবে পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মামলা শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আদালতে লাখ লাখ দেওয়ানি মামলা বিদ্যমান রয়েছে। এজন্য জেলা জজদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন লিডারশিপ অব ডিস্ট্রিক লিগ্যাল এইড কমিটি চেয়ারম্যান: স্ট্রেঞ্জিং গভর্নমেন্ট লিগ্যাল এইড অ্যান্ড গুড গভর্নেন্সথ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় জেলা লিগ্যাল এইডকে আরও কার্যকর করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে এজিআর পদ্ধতিতে দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি করছে। কিন্তু আমরা কেন পারছি না সেটা ভেবে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা জজদের প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, অসহায় মানুষকে আইনি সেবা দিতে জেলা জজদের যোগ্য নেতৃত্ব দিতে হবে। মানুষ জজদের ওপর আস্থা রাখে। আপনারা যদি লিগ্যাল এইড সার্ভিসকে নেতৃত্ব দেন তাহলে মানুষ আস্থা পাবে। এটা নিজের মনে করে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক সঙ্গতি নেই এজন্য লিগ্যাল এইডে মানুষ এলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে নিষ্পত্তিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ফলে মানুষ আদালত বিমুখ হবে। আদালতের ওপর চাপ কমবে। এ ট্রেন্ড চলতে থাকলে মামলা শেষ করা যাবে না।

রাষ্ট্রের সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজে সব নাগরিককে আইনি সেবা দিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাম্যের সমাজ গঠনে কাজ করছে। এজন্য বিচার বিভাগে নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সব নাগরিকের আইনি সেবা তথা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, সরকারি আইন সেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে লিগ্যাল এইড কাজ করছে। দরিদ্র মানুষকে আইনি সেবা দিতে সরকার এ সংস্থা চালু করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে সব দরিদ্র মানুষকে আইনি সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল লিগ্যাল এইড দিবস বঙ্গবন্ধুর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।

সচিব বলেন, ৩০তম ব্যাচ পর্যন্ত যারা বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাননি তাদের নয়জনকে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে বিদেশ ভ্রমণে পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনের পরিচালক এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির এনগেগিং উইথ ইনস্টিটিউশন প্রকল্পের সহায়তায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজরা অংশগ্রহণ করেন