ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকরঃ শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

‘বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘একটি মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না, আমাদের বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা করছি।’

তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা কায়েম করবো।’

‘খাদ্য নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত থাকে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করে যাচ্ছি, এটা আমরা অব্যাহত রাখব।’

‘ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ের’ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা জাতির পিতা চেয়েছেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।’

‘বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব লড়াকু’ এমন কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী, তারা যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। আমরা করোনার সাথে সাথে ঝড়-বন্যা সবই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। এভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে।’

‘প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনে ব্যবহার করার’ আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও কেউ ফেলে রাখবেন না, গাছ লাগান, ফল লাগান, তরিতরকারি লাগান যে যা পারেন কিছু লাগিয়ে নিজের উৎপাদন বাড়ান।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আপনারা জানেন করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। যখনই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তখনই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তাটা থাকতে হবে। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্বে স্থবির একটা দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না হয়, আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনোরকম কষ্ট ভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন মহাব্যবস্থাপক কিউ ইউ ডনিউ ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন।

গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকরঃ শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রতিটি ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

‘বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘একটি মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না, আমাদের বিশাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা করছি।’

তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়- সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা কায়েম করবো।’

‘খাদ্য নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত থাকে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করে যাচ্ছি, এটা আমরা অব্যাহত রাখব।’

‘ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ের’ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা জাতির পিতা চেয়েছেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।’

‘বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব লড়াকু’ এমন কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী, তারা যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। আমরা করোনার সাথে সাথে ঝড়-বন্যা সবই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। এভাবেই আমাদের বাঁচতে হবে।’

‘প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনে ব্যবহার করার’ আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও কেউ ফেলে রাখবেন না, গাছ লাগান, ফল লাগান, তরিতরকারি লাগান যে যা পারেন কিছু লাগিয়ে নিজের উৎপাদন বাড়ান।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আপনারা জানেন করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। যখনই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তখনই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তাটা থাকতে হবে। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে সমগ্র বিশ্বে স্থবির একটা দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না হয়, আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনোরকম কষ্ট ভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন মহাব্যবস্থাপক কিউ ইউ ডনিউ ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন।

গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।