ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একদিনের শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

সেই স্যালাইন অর্ধেকের মতো শরীরে ঢোকার পর বিষয়টি নজরে পড়ে নবজাতকের মা রুবাইয়াত শারমিনের। শুক্রবার রাত ৯টায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসটিসিতে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুর মামা জুবায়েদ ইবনে খলিল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএসটিসি হাসপাতালে তার বোন রুবাইয়াত শারমিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকে নবজাতকের শরীর দুর্বল বলে জানান চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নার্স এসে বাচ্চার শরীরে একটি স্যালাইন লাগিয়ে দিয়ে যান। ২৪ ঘণ্টা পর আমার বোন খেয়াল করে যে তার বাচ্চার শরীরে যে স্যালাইনটি যাচ্ছে গত এপ্রিলে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডির প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ঘটনাটি জানার পর ছুটে আসেন হাসপাতাল ভবনটির মালিক ডা. শাহাদাত হোসেন। নার্সের ভুলের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পরই হাসপাতালে এসেছি এবং শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়ার সত্যতা পেয়েছি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, একজন ডাক্তার চিকিৎসা দেন। ওষুধপত্র নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীকে দেয়ার দায়িত্ব নার্সের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

একদিনের শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ!

আপডেট সময় : ০৮:১৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

সেই স্যালাইন অর্ধেকের মতো শরীরে ঢোকার পর বিষয়টি নজরে পড়ে নবজাতকের মা রুবাইয়াত শারমিনের। শুক্রবার রাত ৯টায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসটিসিতে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুর মামা জুবায়েদ ইবনে খলিল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএসটিসি হাসপাতালে তার বোন রুবাইয়াত শারমিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকে নবজাতকের শরীর দুর্বল বলে জানান চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নার্স এসে বাচ্চার শরীরে একটি স্যালাইন লাগিয়ে দিয়ে যান। ২৪ ঘণ্টা পর আমার বোন খেয়াল করে যে তার বাচ্চার শরীরে যে স্যালাইনটি যাচ্ছে গত এপ্রিলে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডির প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ঘটনাটি জানার পর ছুটে আসেন হাসপাতাল ভবনটির মালিক ডা. শাহাদাত হোসেন। নার্সের ভুলের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পরই হাসপাতালে এসেছি এবং শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেয়ার সত্যতা পেয়েছি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, একজন ডাক্তার চিকিৎসা দেন। ওষুধপত্র নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীকে দেয়ার দায়িত্ব নার্সের।