ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩ বছরের কন্যা শিশু জীবিত উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

তুরস্কের ইজমির শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন বছরের এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভয়াবহ এই কম্পনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এক দশক ধরে এমন ভূমিকম্প এর আগে হয়নি দেশটিতে। শুক্রবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। ইজমিরের ৮টি বিল্ডিংয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। যেখানে প্রায় ৮৩ জন মারা গিয়েছিল। এছাড়া গ্রিক দ্বীপ সামোসেও দুই কিশোর নিহত হয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ইজমিরে মোট ৯৯৪ জন আহত হয়েছেন এবং প্রায় ২২০ জনকে এখনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের ৬৫ ঘণ্টা পরে কন্যাশিশু এলিফকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তাকে জরুরিভাবে একটি স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়েছিলেন।

এর আগে, শনিবার এলিফের মাসহ তার দুই বোন এবং ভাইকে ধ্বংসস্তূপে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

এএফএডি জানিয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পে আহত ৯৬২ জনকে সাময়িক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০০ টিরও বেশি তাবু এবং ১৩ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া এরই মধ্যে ৭৪০ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩ বছরের কন্যা শিশু জীবিত উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

তুরস্কের ইজমির শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন বছরের এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভয়াবহ এই কম্পনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এক দশক ধরে এমন ভূমিকম্প এর আগে হয়নি দেশটিতে। শুক্রবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। ইজমিরের ৮টি বিল্ডিংয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। যেখানে প্রায় ৮৩ জন মারা গিয়েছিল। এছাড়া গ্রিক দ্বীপ সামোসেও দুই কিশোর নিহত হয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ইজমিরে মোট ৯৯৪ জন আহত হয়েছেন এবং প্রায় ২২০ জনকে এখনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের ৬৫ ঘণ্টা পরে কন্যাশিশু এলিফকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তাকে জরুরিভাবে একটি স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়েছিলেন।

এর আগে, শনিবার এলিফের মাসহ তার দুই বোন এবং ভাইকে ধ্বংসস্তূপে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পরে তাদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

এএফএডি জানিয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পে আহত ৯৬২ জনকে সাময়িক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ৩ হাজার ৫০০ টিরও বেশি তাবু এবং ১৩ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া এরই মধ্যে ৭৪০ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন