চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ উপার্জন করছিল মাইন্ড এইড’
- আপডেট সময় : ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
১০ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্ট
মাইন্ড এইড হাসপাতালটির মালিক ও পরিচালক কমিটি অনুমোদনহীন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছিল।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) পুলিশের ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ওই হাসপাতালের ১০ কর্মচারীর ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা। রিমান্ড আবেদনে এমনটাই উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে বলা হয়, হাসপাতালটির মালিক ও পরিচালক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না অনুমোদনহীন হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছিল। ৯ নভেম্বর আনিসুল করিমকে উন্নত চিকিৎসার আশায় পরিবার ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন মানসিক চিকিৎসা দিতে পারেন এমন কোনো ডাক্তার হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন না। আসামিরা চিকিৎসা দেওয়ার অজুহাতে ভিকটিমকে জোর করে বল প্রয়োগ করে হাসপাতালের দোতলায় স্থাপিত একটি অবজারভেশন কক্ষে নিয়ে যায়। কক্ষে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার ১০ আসামি আনিসুল করিমকে মারতে মারতে অবজারভেশন রুমে ঢোকান। ভিকটিমকে ঘাড়ে, পিঠে ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্নভাবে আঘাত করে রুমের ফ্লোর মেটের ওপরে আঘাত করে, কয়েকজন দুই হাত পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধেন। আসামিদের এমন অমানসিক নির্যাতনে আনিসুল করিমের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে ১০ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, শেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।
জানা যায়, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। আনিসুল করিম সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারে দায়িত্বে ছিলেন।