আড়ালে বিভিন্ন খেলা খেলছে বিএনপি: কাদের
- আপডেট সময় : ০২:৩০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
২৯ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিএনপি পর্দারর আড়ালে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খেলা খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব দেশের মানুষের স্বস্তি দেখতে পান না। দেখতে পান অপরাধীদের ভীত-সন্ত্রস্ত মুখচ্ছবি। আওয়ামী লীগ কোনো খেলা বা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। বরং আওয়ামী লীগই বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার। বিএনপিই পর্দার আড়ালে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’ বিশ্বাসী, তারাই ক্ষমতার জন্য অপকৌশল ও দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খেলা খেলছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে। তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার সরকারের কোনও ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে নানান অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। তাদের দুঃশাসন এখনো মানুষকে তাড়া করে, তাই তারা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নবান্ধব সরকার। এ সরকার দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে বলেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করছে।
মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। এ ঘটনা তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কি না তা খতিয়ে দেখাও দরকার।
মন্ত্রী বলেন, অপরাধী কোনো দলের নয়, কিন্তু কোনও ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে বিএনপি আবার অভিযোগ করে বলে ‘সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে’। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আগে বিএনপিকে নিজ দলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিবৃতি আর গুজব অপপ্রচার চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করে, গোপনে সরকার পতনের অলিগলি পথ খুঁজে আর দেশ-বিদেশে গোপন বৈঠক করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি? বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে ‘মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট’।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজস্ব বলয় তৈরি করতে ‘মাই ম্যান; দিয়ে কমিটি গঠন করা যাবে না। যে সকল জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সে সকল জেলায় দ্রুত কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করতে হবে। চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেয়া যাবে না।