ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০০ টাকা না দেয়ায় মায়ের প্রাণ কেড়ে নিলো ছেলে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

১৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, নরসিংদী প্রতিনিধি:

৫০০ টাকার জন্য ছেলের রডের আঘাতে আহত মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান খোদেজা বেগম (৬০)। তিনি পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

মেয়ে আছমা বেগম জানান, ৬ ডিসেম্বর রাতে মায়ের কাছে ৫০০ টাকা চায় খোরশেদ মিয়া। এসময় মা খোদেজা বেগম টাকা দিতে অস্বীকার করলে ছেলে তার ওপর চড়াও হয়। পরে খোরশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ও প্রতিবেশীর খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তার মা বাধা দিতে গেলে মাকে লোহার রড নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

একপর্যায়ে খোদেজা বেগমের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে খোরশেদ পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা খোদেজা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক খোদেজার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। সেখানেই বুধবার রাতে মায়ের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আছমা বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর স্থানীয়দের সহায়তায় খোরশেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, গ্রেফতার খোরশেদ মিয়া বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে নরসিংদী কারাগরে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

৫০০ টাকা না দেয়ায় মায়ের প্রাণ কেড়ে নিলো ছেলে

আপডেট সময় : ০৬:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

১৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, নরসিংদী প্রতিনিধি:

৫০০ টাকার জন্য ছেলের রডের আঘাতে আহত মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান খোদেজা বেগম (৬০)। তিনি পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

মেয়ে আছমা বেগম জানান, ৬ ডিসেম্বর রাতে মায়ের কাছে ৫০০ টাকা চায় খোরশেদ মিয়া। এসময় মা খোদেজা বেগম টাকা দিতে অস্বীকার করলে ছেলে তার ওপর চড়াও হয়। পরে খোরশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ও প্রতিবেশীর খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তার মা বাধা দিতে গেলে মাকে লোহার রড নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

একপর্যায়ে খোদেজা বেগমের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে খোরশেদ পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা খোদেজা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক খোদেজার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। সেখানেই বুধবার রাতে মায়ের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আছমা বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর স্থানীয়দের সহায়তায় খোরশেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, গ্রেফতার খোরশেদ মিয়া বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে নরসিংদী কারাগরে আছে।