ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

১৮ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

মেডিকেল সার্টিফিকেটে (এমসি) সত্য গোপন করার অভিযোগ এনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত লালমোহন দাসের ছেলে সাজন রবিদাস বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামী হওয়া চিকিৎসকেরা হলেন— মেডিকেল অফিসার ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মোহাম্মদ সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডা. রানা নূরুস সামস।

মামলার এজহারে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখের রাতে মামলার বাদি সাজন রবিদাসের বাড়ি ভাংচুর করে কতিপয় দুষ্কৃতকারীরা। এসময় বাদি সাজন রবি দাস, তার স্ত্রী, সন্তান সহ ৭ জন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। আহতদের সাজন রবি দাসের অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে চিকিৎসকেরা।

এই ঘটনায় পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী মেডিকেল সার্টিফিকেট ( এমসি) না দিয়ে প্রকৃত জখম গোপন করেন। এই এমসি’র বিরুদ্ধে আদালতে না রাজি দিলে আদালত গত ৪ নভেম্বর সিভিল সার্জন ও আরএমওকে তিন দিনের ভেতরে বোর্ড বসিয়ে পুনরায় মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস অসমঞ্জস্যপূর্ণ আরও একটি মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রাকেশ চন্দ্র সরকার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রানা নূরুস সামস রাইজিংবিডিকে বলেন, আদালতের রায়ের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। আদালত যে রায় দেয় তা মেনে নিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

১৮ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

মেডিকেল সার্টিফিকেটে (এমসি) সত্য গোপন করার অভিযোগ এনে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত লালমোহন দাসের ছেলে সাজন রবিদাস বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামী হওয়া চিকিৎসকেরা হলেন— মেডিকেল অফিসার ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মোহাম্মদ সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডা. রানা নূরুস সামস।

মামলার এজহারে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখের রাতে মামলার বাদি সাজন রবিদাসের বাড়ি ভাংচুর করে কতিপয় দুষ্কৃতকারীরা। এসময় বাদি সাজন রবি দাস, তার স্ত্রী, সন্তান সহ ৭ জন দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। আহতদের সাজন রবি দাসের অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে চিকিৎসকেরা।

এই ঘটনায় পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, ডা. মির্জা মো. সাইফ, ডা. সোলাইমান মিয়া আহতদের আঘাত অনুযায়ী মেডিকেল সার্টিফিকেট ( এমসি) না দিয়ে প্রকৃত জখম গোপন করেন। এই এমসি’র বিরুদ্ধে আদালতে না রাজি দিলে আদালত গত ৪ নভেম্বর সিভিল সার্জন ও আরএমওকে তিন দিনের ভেতরে বোর্ড বসিয়ে পুনরায় মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূরুস সামস অসমঞ্জস্যপূর্ণ আরও একটি মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৃত সত্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রাকেশ চন্দ্র সরকার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রানা নূরুস সামস রাইজিংবিডিকে বলেন, আদালতের রায়ের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। আদালত যে রায় দেয় তা মেনে নিব।