ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানের বহরে যুক্ত হলো ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬০ বার পড়া হয়েছে

২৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে একটি নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনার কথা মাথায় রেখে আমদানি করা এই উড়োজাহাজটির নাম রাখা হয়েছে ‘ধ্রুবতারা’।

উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের পার্শবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে একটি সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। …আজকে যে বিমানটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছি তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন বিমানের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের চমৎকার ভৌগলিক অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বাড়াতে পারি তাহলে সবদিক থেকেই আমাদের উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ইতোমধ্যেই অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। যার অংশ হিসেবে আজ এই নতুন উড়োজাহাজ ড্যাশ ৮-৪০০ এর উদ্বোধন করছি।’

নতুন বিমানটির নাম তিনি ধ্রুবতারা রেখেছেন এবং নতুন আনা বিমানগুলোর নামকরণ দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনিই করেছেন, যে কাজে তাকে ছোট বোন শেখ রেহানা সহযোগিতা করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি আর ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে। কাজেই, এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ধ্রুবতারা নামটি পছন্দ করেছি। নামগুলোর পছন্দ করায় আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমার ছোট বোন শেখ রেহানা।’

করোনাভাইরাস এসে আমাদের সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে, সমস্ত কর্মকান্ডকে স্থবির করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। এটা শুধু বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ্বব্যাপীই এই সমস্যাটা হচ্ছে।

তিনি এ সময় নতুন বিমান আনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিমানের পদক্ষেপকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ আখ্যায়িত করে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যগণ, সচিব এবং বাংলাদেশ বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উর্ধ্বতন সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

গণভবণ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন প্রথম ড্যাশ ৮-৪০০ এয়ার ক্রাফট হচ্ছে এই ধ্রুবতারা।

বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে ক্রয়কৃত তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে প্রথমটি এটি। কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত, ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।

নতুন উড়োজাহাজটি সংযোজিত হওয়ায় বিমান বহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৯টি, এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ২টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

বিমানের বহরে যুক্ত হলো ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

২৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে একটি নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনার কথা মাথায় রেখে আমদানি করা এই উড়োজাহাজটির নাম রাখা হয়েছে ‘ধ্রুবতারা’।

উড়োজাহাজটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের পার্শবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে একটি সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। …আজকে যে বিমানটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছি তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন বিমানের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের চমৎকার ভৌগলিক অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বাড়াতে পারি তাহলে সবদিক থেকেই আমাদের উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ইতোমধ্যেই অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। যার অংশ হিসেবে আজ এই নতুন উড়োজাহাজ ড্যাশ ৮-৪০০ এর উদ্বোধন করছি।’

নতুন বিমানটির নাম তিনি ধ্রুবতারা রেখেছেন এবং নতুন আনা বিমানগুলোর নামকরণ দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনিই করেছেন, যে কাজে তাকে ছোট বোন শেখ রেহানা সহযোগিতা করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি আর ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে। কাজেই, এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ধ্রুবতারা নামটি পছন্দ করেছি। নামগুলোর পছন্দ করায় আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমার ছোট বোন শেখ রেহানা।’

করোনাভাইরাস এসে আমাদের সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে, সমস্ত কর্মকান্ডকে স্থবির করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। এটা শুধু বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ্বব্যাপীই এই সমস্যাটা হচ্ছে।

তিনি এ সময় নতুন বিমান আনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিমানের পদক্ষেপকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ আখ্যায়িত করে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যগণ, সচিব এবং বাংলাদেশ বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উর্ধ্বতন সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

গণভবণ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন প্রথম ড্যাশ ৮-৪০০ এয়ার ক্রাফট হচ্ছে এই ধ্রুবতারা।

বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে ক্রয়কৃত তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে প্রথমটি এটি। কানাডার প্রখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত, ৭৪ আসন বিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ।

নতুন উড়োজাহাজটি সংযোজিত হওয়ায় বিমান বহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৯টি, এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, ২টি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।