ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করায় সংকটে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

২৬ এপ্রিল ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

ভারতে সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামারি। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে দ্বিগুণ-তিনগুণ কিংবা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। এ পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভাথরত। তাতে করে বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেন সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশথঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

গত ৪ দিন ধরেই বাংলাদেশের বাজারে ভাথরত থেকে কোনও অক্সিজেন আসছে না। দেশের চিকিৎসা খাতে হঠাৎ জরুরি অক্সিজেন আমথদানি বন্ধ হওয়ায় কথরোথনা আথক্রাথন্ত রোগীদের চিকিৎসায় এরইমধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ভারতে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকলেও অক্সিজেনের অথপেক্ষায় রুদ্ধশ্বাথস হয়ে থাকছে হাসপাতালগুলো। সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় দেশটিতে কথরোথনা আক্রান্ত বহু রোগী মাথরা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাথরতের সঙ্গে বাংলাদেশের শুধু বাণিজ্যিক সথম্পথর্ক না। দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ক্রান্তিকালীন এই সময়ে সীমিত পরিসরে হলেও ভাথরত অক্সিজেন রফতানি সচল রাখবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

সবশেষ গেল ২১ এপ্রিলের আগে এক সপ্তাহে ৪৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন ভাথরত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর আর কোনও অক্সিজেন ভাথরত থেকে বাংলাদেশে আসেনি।

সময়মতো ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্রের জটিলতা আর পূর্বপরিকল্পনার অভাবকেই ভাথরতে অক্সিজেন সংকটের কারণ উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রধান সমস্যা হচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে সময়মতো অক্সিজেন পৌঁছুচ্ছে না। অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে থাকায় এবং বিতরণ ব্যবস্থা সমন্বিত না হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের হাসপাতালগুলো অক্সিজেন সংকটের কারণে বেসামাল হয়ে পড়েছে।

এদিকে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানিয়েছেন, দেশের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বড় একটি অংশ বছরজুড়ে প্রতিবেশী দেশ ভাথরত থেকে আমদানি করা হয়। প্রতিমাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে আসে।

অক্সিজেন পরিবহনকারী বেনাপোল বন্দরে বাংলাদেশি কয়েকজন ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তারা গত ৪ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ভারত থেকে কোনও অক্সিজেন বন্দরে আসছে না।

এ বিষয়ৈ অক্সিজেন আমদানিকারকদের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ-এর রাকিব হোসেন জাগরণ কে জানান, ভারত নিজ দেশের লোকদের অক্সিজেন সরবরাহ করতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে। তাদের নিজেদেরই এখন অক্সিজেন সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে ভারত অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দেশটির সরকারেরও কিছুটা চাপ রয়েছে।

হঠাৎ ভারত থেকে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন, একইসঙ্গে দেশে করোনা মহামারিকালীন চিকিৎসাসেবাও অক্সিজেন সংকটে বড় হুথমকির মুখে পড়ছে।

দেশের আমদানিকারকেরা ভারতের রফতানিকারকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করায় দেশটির রফতানিকারকরা অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ওপর সরকারের চাপ আছে। করোনাকালীন ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারত বাংলাদেশে সাময়িকভাবে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ রেখেছে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে অক্সিজেন স্বল্পতা থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তরল অক্সিজেন দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ভারত অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করায় সংকটে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

২৬ এপ্রিল ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

ভারতে সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামারি। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে দ্বিগুণ-তিনগুণ কিংবা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। এ পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভাথরত। তাতে করে বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেন সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশথঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

গত ৪ দিন ধরেই বাংলাদেশের বাজারে ভাথরত থেকে কোনও অক্সিজেন আসছে না। দেশের চিকিৎসা খাতে হঠাৎ জরুরি অক্সিজেন আমথদানি বন্ধ হওয়ায় কথরোথনা আথক্রাথন্ত রোগীদের চিকিৎসায় এরইমধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ভারতে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকলেও অক্সিজেনের অথপেক্ষায় রুদ্ধশ্বাথস হয়ে থাকছে হাসপাতালগুলো। সময়মতো অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় দেশটিতে কথরোথনা আক্রান্ত বহু রোগী মাথরা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাথরতের সঙ্গে বাংলাদেশের শুধু বাণিজ্যিক সথম্পথর্ক না। দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ক্রান্তিকালীন এই সময়ে সীমিত পরিসরে হলেও ভাথরত অক্সিজেন রফতানি সচল রাখবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

সবশেষ গেল ২১ এপ্রিলের আগে এক সপ্তাহে ৪৯৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন ভাথরত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপর আর কোনও অক্সিজেন ভাথরত থেকে বাংলাদেশে আসেনি।

সময়মতো ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্রের জটিলতা আর পূর্বপরিকল্পনার অভাবকেই ভাথরতে অক্সিজেন সংকটের কারণ উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রধান সমস্যা হচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে সময়মতো অক্সিজেন পৌঁছুচ্ছে না। অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অনেক দূরে থাকায় এবং বিতরণ ব্যবস্থা সমন্বিত না হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের হাসপাতালগুলো অক্সিজেন সংকটের কারণে বেসামাল হয়ে পড়েছে।

এদিকে বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানিয়েছেন, দেশের চিকিৎসা খাতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বড় একটি অংশ বছরজুড়ে প্রতিবেশী দেশ ভাথরত থেকে আমদানি করা হয়। প্রতিমাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে আসে।

অক্সিজেন পরিবহনকারী বেনাপোল বন্দরে বাংলাদেশি কয়েকজন ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তারা গত ৪ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ভারত থেকে কোনও অক্সিজেন বন্দরে আসছে না।

এ বিষয়ৈ অক্সিজেন আমদানিকারকদের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ-এর রাকিব হোসেন জাগরণ কে জানান, ভারত নিজ দেশের লোকদের অক্সিজেন সরবরাহ করতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে। তাদের নিজেদেরই এখন অক্সিজেন সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে ভারত অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দেশটির সরকারেরও কিছুটা চাপ রয়েছে।

হঠাৎ ভারত থেকে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন, একইসঙ্গে দেশে করোনা মহামারিকালীন চিকিৎসাসেবাও অক্সিজেন সংকটে বড় হুথমকির মুখে পড়ছে।

দেশের আমদানিকারকেরা ভারতের রফতানিকারকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করায় দেশটির রফতানিকারকরা অক্সিজেন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ওপর সরকারের চাপ আছে। করোনাকালীন ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারত বাংলাদেশে সাময়িকভাবে অক্সিজেন রফতানি বন্ধ রেখেছে।

বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে অক্সিজেন স্বল্পতা থাকলেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তরল অক্সিজেন দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।