ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুনিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচনা : ৩০ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

২৭ এপ্রিল ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত কলেজছাত্রীর বড় বোন মামলায় সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে আাত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনেছেন।

এদিকে, মামলার এজাহার গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আগামী ৩০ মে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে।

 

সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের ওই ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বোন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মামলাটির এজাহার গ্রহণ করেন আদালত

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী রাজধানীর একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মার্চ মাসে গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার বাবা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে তিনি যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, দুই বছর আগে সায়েম সোবহানের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তারা মাঝে মধ্যে রেস্টুরেন্টে দেখা করতেন। পরে ২০১৯ সালে ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনানীর একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন সায়েম সোবহান। একপর্যায়ে সায়েমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকা ছাড়তে বলে। পরে ওই তরুণীকে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হয়৷

 

এজাহারে আরও বলা হয়, সায়েম সোবহান বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীকে এ বছরের মার্চ মাসে ফের ঢাকা নিয়ে আসেন এবং গুলশানের এই ফ্ল্যাটে রাখার ব্যবস্থা করেন। ওই তরুণীকে বিয়ে করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দেন সায়েম। এর মধ্যেই ফেসবুকে ছবি দেওয়ার সূত্র ধরে সায়েমের সঙ্গে ওই তরুণীর মনোমালিন্য ঘটে। বিষয়টি আবার সায়েমের পরিবারের জেনে যাওয়ার আশঙ্কায় সায়েম তাকে ফের কুমিল্লা চলে যেতে বলেন।

 

বাদী অভিযোগে লিখেছেন, তার বোন সোমবার ফোন করে তাকে জানান যে সায়েম তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরে বাদী ঢাকার পথে রওনা দেন। এর মধ্যে তার বোনের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পান। গুলশানের ওই বাসায় পৌঁছানোর পরও কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ওই তরুণীকে তার বেডরুমে ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

 

সায়েম সোবহান আনভীরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেলে সোয়া ৪টার মধ্যে কোনো একসময় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন তার বড় বোন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

মুনিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচনা : ৩০ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৯:৪২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

২৭ এপ্রিল ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত কলেজছাত্রীর বড় বোন মামলায় সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে আাত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনেছেন।

এদিকে, মামলার এজাহার গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আগামী ৩০ মে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে।

 

সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের ওই ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বোন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মামলাটির এজাহার গ্রহণ করেন আদালত

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী রাজধানীর একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মার্চ মাসে গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার বাবা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে তিনি যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, দুই বছর আগে সায়েম সোবহানের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। তারা মাঝে মধ্যে রেস্টুরেন্টে দেখা করতেন। পরে ২০১৯ সালে ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনানীর একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন সায়েম সোবহান। একপর্যায়ে সায়েমের পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকা ছাড়তে বলে। পরে ওই তরুণীকে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হয়৷

 

এজাহারে আরও বলা হয়, সায়েম সোবহান বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীকে এ বছরের মার্চ মাসে ফের ঢাকা নিয়ে আসেন এবং গুলশানের এই ফ্ল্যাটে রাখার ব্যবস্থা করেন। ওই তরুণীকে বিয়ে করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দেন সায়েম। এর মধ্যেই ফেসবুকে ছবি দেওয়ার সূত্র ধরে সায়েমের সঙ্গে ওই তরুণীর মনোমালিন্য ঘটে। বিষয়টি আবার সায়েমের পরিবারের জেনে যাওয়ার আশঙ্কায় সায়েম তাকে ফের কুমিল্লা চলে যেতে বলেন।

 

বাদী অভিযোগে লিখেছেন, তার বোন সোমবার ফোন করে তাকে জানান যে সায়েম তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরে বাদী ঢাকার পথে রওনা দেন। এর মধ্যে তার বোনের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পান। গুলশানের ওই বাসায় পৌঁছানোর পরও কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ওই তরুণীকে তার বেডরুমে ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

 

সায়েম সোবহান আনভীরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেলে সোয়া ৪টার মধ্যে কোনো একসময় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন তার বড় বোন।