ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনামুক্ত খালেদা জিয়া, চলছে কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

৯ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পরে করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন এবং পোস্ট করোনার চিকিৎসা চলছে।

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখন তার পোস্ট কোভিড এবং অন্য জটিলতার চিকিৎসা চলছে বলে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন।

গত ১১ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে।

গত ২৭ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তেসরা মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়।

এখনো তিনি সিসিইউতেই আছেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই ডায়াবেটিস বা আর্থরাইটিসসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন ডায়াবেটিসের কারণেও তার অন্য চিকিৎসায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রোববার এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৫ মে বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে সাক্ষাৎ করে এই লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।

শামীম ইস্কান্দার বলেছেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।

এর আগে যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া।

এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

করোনামুক্ত খালেদা জিয়া, চলছে কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা

আপডেট সময় : ০১:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

৯ মে ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :

করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পরে করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন এবং পোস্ট করোনার চিকিৎসা চলছে।

ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখন তার পোস্ট কোভিড এবং অন্য জটিলতার চিকিৎসা চলছে বলে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন।

গত ১১ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে।

গত ২৭ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তেসরা মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়।

এখনো তিনি সিসিইউতেই আছেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই ডায়াবেটিস বা আর্থরাইটিসসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন ডায়াবেটিসের কারণেও তার অন্য চিকিৎসায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রোববার এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৫ মে বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে সাক্ষাৎ করে এই লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।

শামীম ইস্কান্দার বলেছেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।

এর আগে যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া।

এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সূত্র : বিবিসি