পাকিস্তানে টকশোয়ের মধ্যে হাতাহাতি, সাংসদের গালে চড়
- আপডেট সময় : ১০:০৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ২০০ বার পড়া হয়েছে
১১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানে একটি টিভি চ্যানেলে টকশোয়ের মধ্যেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর হাতাহাতির ঘটনা সামনে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার ভিডিওতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ফিরদৌস আশিক আওয়ান এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আব্দুল কাদির খান মান্দোখেলকে হাতাহাতি করতে দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদ চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজের একটি অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। ‘কাল তাক’ নামের একটি অনুষ্ঠানে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই দুই নেতাকে।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএনএ) আব্দুল কাদির খান সরাসরি ফিরদৌস আওয়ানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগের জবাবে ফিরদৌস তার কাছে প্রমাণ চান এবং বলেন যে তিনি মানহানির মামলা করবেন।
এ পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কি বাড়তে থাকলে ফিরদৌস কাদির খানকে চড় মেরে বসেন আর তারপর শুরু হয় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি।
ঘটনা দেখে তাজ্জব হয়ে যান অনুষ্ঠনের সঞ্চালক জাভেদ চৌহান। ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করতে পারেননি তারা।
পিটিআই নেতা ফিরদৌস আওয়ান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক বিশেষ সহকারী এবং বর্তমানে পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (তথ্য)।
আর কাদির খান মান্দোখেল হলেন বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির জাতীয় পরিষদের সদস্য। এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে করাচি পশ্চিম-২ আসন জিতেছিলেন তিনি।
ঘটনার পর ফিরদৌস আওয়ান টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, কাদির খান ক্রমাগত তাকে খারাপ কথা বলছিলেন। ফিরদৌস অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানের বিরতির সময় সংসদ সদস্য কাদির খান তাকে বাবা তুলে গালি দেন ও হুমকি দেন।
ফিরদৌস আরো বলেন, এ অবস্থায় নিজের সম্মান বাঁচাতে তিনি কাদির খানের ওপর হাত তোলেন। ঘটনার ছোট একটি ভিডিও ফাঁস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলছেন, এই ঘটনার পুরো ভিডিও প্রকাশ্যে আসা উচিৎ। যাতে সবাই বুঝতে পারে কেন তিনি চর মারতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবেই সবাই সত্যটা বুঝবে।
একইসঙ্গে তিনি এও বলছেন যে এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। নারী নির্যাতনের সঙ্গে কাদির খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের কথাও ভাবছেন তিনি।