ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণের চাপ সইতে না পেরে সুপারি বিক্রেতার আত্মহত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেট, হোম, কোয়ারেন্টাইন, ৪২৪, জন, পূর্বপশ্চিমবিডি,

২২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে সুকুমার রায় (৪৫) নামে এক পান-সুপারি বিক্রেতা আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের দয়ারবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সুকুমার রায় (৪৫) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর গ্রামের জয় কুমার রায়ের ছেলে।

সোমবার বিকালে পুলিশ তার নিজ দোকানের শয়ন ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আজিদ জানান, সুকুমার রায় ১০-১২ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জের দয়ারবাজারে ব্যবসা করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দাবস্থা দেখা দেওয়ায় ধার-দেনা করে চলছিলেন। পাওনাদার অনেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই চাপ সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে দয়ারবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সুকুমারকে নাস্তা করতে দেখেন কয়েকজন। এরপর নিজ দোকানে ঢুকে ভেতর থেকে দরজার লক লাগিয়ে নেন। সারাদিনেও দরজা না খোলায় অনেকের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে বিকাল ৪ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

ট্যাগস :

ঋণের চাপ সইতে না পেরে সুপারি বিক্রেতার আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৩২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

২২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে সুকুমার রায় (৪৫) নামে এক পান-সুপারি বিক্রেতা আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের দয়ারবাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সুকুমার রায় (৪৫) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর গ্রামের জয় কুমার রায়ের ছেলে।

সোমবার বিকালে পুলিশ তার নিজ দোকানের শয়ন ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আজিদ জানান, সুকুমার রায় ১০-১২ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জের দয়ারবাজারে ব্যবসা করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দাবস্থা দেখা দেওয়ায় ধার-দেনা করে চলছিলেন। পাওনাদার অনেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই চাপ সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে দয়ারবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সুকুমারকে নাস্তা করতে দেখেন কয়েকজন। এরপর নিজ দোকানে ঢুকে ভেতর থেকে দরজার লক লাগিয়ে নেন। সারাদিনেও দরজা না খোলায় অনেকের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে বিকাল ৪ টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।